ওগো” জীবনের শেষ চাওয়া
কি আর আমি চাইবো,
আমার আমানত তুমি অন্যের হলে
আমি ঠিক সে জনমে পাইবো।
যেদিন হয়তো আমার দুয়ারে এসে
মরণ হবে খাঁড়া,
নতুন করে তখন আর
আমার হবে না তাড়া।
ওগো” কি আর চাইবো বলো
আমি তোমার কাছে,
আমি ছাড়া তোমার জীবনে
বলো, আর কে পাশে আছে।
যেদিন খোঁপায় দিয়েছিলে,
গোলাপ গাঁদা ফুল,
সেদিন উড়তে পারেনি বাতাসে
আমার এলো চুল।
হাতভরা লাল রেশমি চুড়ি
লাল সবুজের শাড়ী,
তুমি গর্ব করে বলেছিলে সেদিন
আজকে তোমায় দেখা যায় বাংলার এক নারী।
পায়ে মল হাতে আলতা
কপোলে লাল টিপ,
হাত দু’টি ধরে বলেছিলে
তুমি রূপের চন্দ্র দ্বীপ।
হিমেল বাতাসে যখন উড়ে
লাল শাড়ীর আঁচল,
উৎফুল্লে বলেছিলে সেদিন
মানিয়েছে চোখে কালো কাজল।
কানে ঝুমকা দুল নাকে নত
গলায় পুঁথির মালা,
সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলে দাঁড়াও
বরণ করবো ফুলে সাজিয়ে রেখেছি ডালা।
ভুলে কি গেছো সেই পুরনো কথা
মনে পড়ে না কি একবার,
কে এলো গো তোমার ঘরে, নতুন করে
কি এমন প্রয়োজন ছিলো দুঃখ দেওয়ার।
আজ হতে মুক্ত করে দিলাম ভালো থেকো
কেউ বলবে না তখন ওগো তুমি আসছো,
আমিও হয়তো শুনবো না কারো মুখে
তুমি চাঁদের মতো করে হাসছো।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কি আর চাইবো
আর কিছুই চাওয়ার নেই ওগো” প্রিয়,
যদি এখনো ভালোবেসে থাকো
সেদিন আমার কবরে শুধু
একটি গোলাপ ফুল দিও।
কবর থেকে ফেরার পথে ওগো”
সেই নাম ধরে প্রিয় ডেকো,
সবই তো রেখে যাচ্ছি
যতন করে তুমি রেখো।
চলার পথে কতোই করেছি ভুল
ওগো’ করেছো কি তুমি ক্ষমা,
একটি বার এসে দেখলে না
কতো দুঃখ আছে এ মনে জমা।
আগের মতো এখন আর
করি না অনুতাপ,
যা করেছো জীবনে তবুও
করে দিলাম মাফ।
আসবো আবার আমি
কাক কোকিল অথবা শালিকের বেসে
ঘুরে ঘুরে দেখবো যখন
আমি, মৃদু হাসি হেসে।।