সিলেটে এক টিভি সাংবাদিকের বসতঘরে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছে। প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল হয়ে গেছে পোড়ে ভস্মীভূত। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখায়
পুড়েনি কেবল আল কোরআন। এছাড়া পরিবারের লোকজনও রক্ষা পেয়েছেন অক্ষত অবস্থায়। শুক্রবার ভোরে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের হেতিমগঞ্জরকায়স্থগ্রামে ঘটেছে এ ঘটনাটি। আজ শুক্রবার ভোরে পরিবারের লোকজন যখন ঘুমে- এ সময় অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ঘরের চারিদিকে বিদ্যুতের তার জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ঘুম থেকে উঠে চিৎকার দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানো হয়। খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে এসে প্রায় দেড় ঘণ্টার আপ্রাণ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বাড়ির কেউ হতাহত হননি। ঘটনার ভয়াবহতার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সমবেদনা জানাতে জড়ো হন এশিয়ান টিভির ক্যামেরাপার্সন রুহিন আহমদের বাড়িতে। বাদ জুম’আ স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সহানুভূতি ব্যক্ত করেন ক্ষতিগ্রস্তদের। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ৩ নং ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল হানিফ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সাংবাদিক রুহিম আহমদ জানান, ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ও জরুরি কাগজপত্র পোড়ে গেলেও আশ্চর্যজনকভাবে শুধু অক্ষত ছিল পবিত্র কোরআন শরীফ। ষ্টিল আলমারীর ভেতরের কাগজপত্রও রক্ষা পায়নি আগুনের তাপে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় লেপ তোষক সহ ব্যবহারী সামগ্রী। তিনি বলেন, এতদিন বিভিন্ন জনের মুখে, সংবাদ মাধ্যমে বদৌলতে খবর পেতাম অগ্নিকান্ডের ছোবলের পরও কোরআন শরীফ অক্ষতের ঘটনা। কিন্তু নিজে আজ বাস্তব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন। ষ্টিল আলমারীর উপরে রাখা ছিল পবিত্র কোরআন শরীফ। এর আশপাশ সহ গোটা ষ্টিল আলমারী পোড়ে অঙ্গার। কিন্তু পুড়েনি কেবল আল কোরআন। এছাড়া আগুনে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।গোলাপগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ফয়সল বলেন, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।