রঙিন মাছ চাষে সফল উদ্যোগতা নিয়াজ মোর্শেদ নবীন এর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাহারি নানা প্রজাতির মাছদের সকালের খাবার খাওয়াচ্ছেন তিনি।
আঙিনায় ছোট বড় ইট দিয়ে তৈরি চৌবাচ্চায় রাখা ও বিশ্বাল ট্যাংক এর পানিতে ভাসছে নানা রঙের রঙিন মাছ।
এর মধ্যে লাল, নীল, কমলা, কালো, বাদামি, হলুদ রঙের মাছের ছড়াছড়ি গোল্ড ফিশ, গাপ্পি, ব্লাকমোর,কমেট, রেড ক্যাপ, মলি, বেলুন মলি সহ এছাড়াও অনেক ধরনের মাছ।
এই মাছ দেখলে যেমন চোখ জুড়ায়, তেমন মন ভরে যায়।
২ বছর হলো রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন তিনি।
রংপুর এর মৃদুল রহমান স্যার এর পরামর্শ,তারপর তার খালাতো ভাই সালমান সরদার দুজনেই তাকে মাছ চাষে নানা পরামর্শ দিতে থাকেন।
শুরু দিকে তিনি অটোব্রিডিং এর মাছ দিয়ে যেমন মলি, প্লাটি, গাপ্পি মাছ দিয়ে শুরু করেন।
আর এখন সব মিলে তিনি মাসে ৮-১০ হাজার টাকা আয় করেন।
সব কিছুবাদ দিয়ে বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করেন। আর করোনার সময় বেশি বিক্রি হয়েছে।
একুরিয়াম এর সকল সরঞ্জাম তার কাছে পাওয়া যায়। গাইবান্ধা কালার ফিস নামে এ্যাকুরিয়াম ও রঙিন মাছের শপ গোটা গাইবান্ধায় পরিচিত।
তিনি গাইবান্ধার মধ্যে পাইকারি দরে সব জিনিস বিক্রি করেন।
তিনি বলেন, কে কেমন সেল করে আমি জানি না। কিন্তু মানুষের শখকে কাজে লাগিয়ে অসাধু কিছু লোক দাম বেশি নিচ্ছে। যার কারণে মানুষের শখ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
জেলা শহরের ডিসি অফিস থেকে সামনে সুখশান্তি বাজারের বনবিভাগ রোডে তার বাড়ি।
বর্তমানে তিনি মৎস চাষের পাশাপাশি নিউ মেরিট কেয়ার কোচিং এ শিক্ষক হিসেবে আছেন।