ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ৪ নং সিংহেশ্বর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কুটুরাকান্দা গ্রামের নিবাসী ছকুর মা। আসল নাম শহরবানু।স্বামী তুরাফআলি আর ২ পুত্র তিন মেয়ে নিয়ে অভাবে টানাপোড়নে চলে সংসার। স্বামী দিনমজুর বা সাহায্য-সহযোগিতা করে পাঁচ সন্তানের মুখে তিন বেলা আহার তুলে দেওয়া অত্যন্ত কষ্টের ব্যাপার ছিল। তিনবেলা আহার দিতে না পারলেও কোনদিন একবেলা খেয়ে দিন কেটে যেতো ওঁদের। স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে স্বপ্নের জালবুনত।ছেলেরা বড় হয়ে হয়তো কামায় রুজি করে আমাদের অনন্ত দুবেলা খাবার জোগাতে পারবে। কিন্তু তা বাস্তবে পূরণ করতে পারেনি তার দুই ছেলে। গ্রামের ছেলে পেলে বলে একটু বড় হয়েই,বড় ছেলে বিয়ে করেই কয়েকদিন পরে পৃথক হয়ে যান। এভাবেই চলতে থাকে ছকুরমার অভাবের সংসার। কিছুদিন পর স্বামী চলে যান না ফেরার দেশে। স্বামী মরে যাওয়ার পর অভাব আর দুঃখ-কষ্ট একসাথে তার কাঁধে ভর করে। সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে দৈনিক মজুরি হিসেবে কাজ করে ছোট ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকে। কিছুদিন পর ছেলে খোকন বিয়ে করে মাকে একা রেখে পৃথক হয়ে যান। খোকন পৃথক হওয়ার পরপরই মাকে নিয়ে চলে ঝগড়া ফ্যাসাদ আর ভাগাভাগি কে ভাত দিবে কে কাপড় দিবে?ছকুরমার ঠেলা ধাক্কা আর ভালো লাগেনা। পলিথিনে ঘেরা ভাঙ্গা ঘরের বারান্দায় লাঠি হাতে বসে স্বপ্নের প্রহর গুনছে একটি ঘরের আশায়। এখন তার কাকুতি-মিনতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবদার,”আমাকে একটি ঘর দিন!আমাকে একটি ঘর দিন!আমাকে একটি ঘর দিন “।