সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সৎ ভাইয়ের সন্তানদের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে একটি নিরিহ পরিবার। সরলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দখল করার পায়ঁতারা করছে চাচার পৈতৃক সম্পত্তি। বাড়ি থেকে যাওয়ার কথা বলায় খড়ের ঘরে লাগিয়ে দিয়েছে আগুন ।
ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ৩ নং মীরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসি দিঘিরপাড় গ্রামে।
অভিযোগে জানা যায়,
গ্রামের মৃত আব্দুল মনির খানের ছেলে ওলিউর রহমান খান মুক্তি তার সৎ ভাই মৃত মহি উদ্দিন খান ময়ূরের ছেলে মুসলেহ উদ্দিন খান মামুন গংদের বাড়ী-ঘর না থাকায় মানবিক বিভেচনায় বাড়িতে থাকার জন্য জায়গা দেন।
পরবর্তীতে তাদের আচার-আচরণ সন্দেহজনক হলে তাদেরকে বাড়ী থেকে চলে যাওয়ার জন্য বার বার তাগিদ দিলেও তারা কোন কর্নপাত না করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে।
এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশ বৈঠক বসে।
এরই জের ধরে ওলিউর রহমান খান মুক্তির খড়ের ঘরে জোরপূর্বক গো খাদ্য রেখে দখল করতে চায় ভাতিজা মুসলেহ উদ্দিন খান মামুন, মোশাররফ হোসেন খান মারুফ, আবুল মনছুর খান মাছুম। এনিয়ে তাদের মধো বাক বিতন্ডা ও কথা কাটাকাটি হয়।
এসময় ওলিউর রহমান খান মুক্তি তাদেরকে বাড়ী থেকে চলে যাওয়ার কথা বলেন। এ কথা শুনে তার সৎ ভাইয়ের ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং ঐ দিনই মোবাইল ফোনে মুক্তি খানের বোনকে খড়ের ঘর জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দেন মামুন খান।
দিন পেরোতেই (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টায় উক্ত খড়ের ঘরে প্রতিবেশিরা আগুন দেখতে পায়।
তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলেও আগুনের লেলিহান শিখায় পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে জগন্নাথপুর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানার এস আই ভোলানাথ সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরিনের মধ্যস্থতায় গ্রামে সালিশ বৈটক বসে। বৈটকে ঘর পূড়ানোর বিষয়টি বিবাদী মামুন, মারুফ ও মাছুম স্বীকার করলে ঘরের ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু বিবাদীরা গ্রাম্য রায়কে উপেক্ষা করে নানা ভাবে তালবাহানা ও উশৃংখল আচরণ করলে বাদী নিজেই জান মাল নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েন। অবশেষে নিরুপায় হয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করে ওলিউর রহমান খান মুক্তি বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এরই ভিত্তিতে থানার এস আই রাজিব রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওলিউর রহমান খান মুক্তি বলেন, মানবিক কারণে তাদেরকে বাড়িতে জায়গা দেয়ায় এখন আমাদের জন্য বিপদ হয়ে দাড়িয়েছে।
বিবাদীরা চেয়ারম্যান সাহেব, গ্রামের মেম্বারসহ মুরুব্বিয়ান কারো কথা মানেনা। মামুন খান সহ অন্যরা আমার খড়ের ঘরে আগুন দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে।
এখন সবকিছু দখল করার পায়ঁতারায় রয়েছে। তাদের হুমকিজনিত কারণে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা জান-মাল নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।