সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর-রাণীগঞ্জ রাস্তার কাজ শুরু হলেও এলাকাসীর হতাশার শেষ নেই। বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে যায়। যুগের পর যুগ এমন দুরাবস্থার কারনে অত্র এলাকার হাজারো মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে।
স্বাধীনতার পর এই রাস্তাটি প্রতিষ্টিত হলেও নজর পড়েনি কারো।
এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে কিছু জায়গায় সাধারন মাটি ভরাট হলেও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছেন ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
অবশেষে এই জনবহুল রাস্তাটি নজরে পরে বর্তমান সরকারের স্থানীয় সাংসদ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের।
উন্নয়নের অংশ হিসাবে কাজ শুরু হয় বহু প্রত্যাশিত কুবাজপুর- রাণীগঞ্জ এর গুরুত্বপূর্ন এই রাস্তায়।
কিন্তু জনমনে হতাশা তো থেকেই যাচ্ছে।
রাস্তাটির পাঁকাকরণ কাজের টেন্ডার হয়ে রাস্তায় কাজ শুরু হলেও আহমদাবাদ এলাকায় কোন রকম মাটি ভরাট ছাড়াই নীচু ভুমির উপর দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে । ফলে নিন্মাঞ্চল দিয়ে পাঁকা রাস্তা হলে, বর্ষায় পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন গ্রামের ভুক্তভোগী জনসাধারণ।
কুবাজপুর আহমদাবাদ গ্রামের উপেন্ড সূত্রধর, নুরুজ্জামান, মুজিবুর রহমান ময়ূর, জয়নাল আবেদীন, খলিলুর রহমান চৌধুরী, প্রতাপ সূত্রধর সহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, এই নীচু জমিতে রাস্তার পাঁকাকরণ কাজ হলে বর্ষায় রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে ভেঁঙ্গে যাবে। তাছাড়া পানির স্রোতে বাড়ি- ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। স্থানীয় ঠিকাদার নীচু জমিতে থাকা, রাস্তা থেকে মাঠি খনন করছেন। এই রাস্তাটি আরো নীচু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুবাজপুর গ্রামের একটি অংশে রাস্তাটি পাঁকা রয়েছে।
যদি এই রাস্তার সাথে লেভেল করা হয়, তাহলে বর্ষায় মানুষের দূর্ভোগ কমবে এবং সরকারের বরাদ্ধকৃত টাকা জনগনের কাজে লাগবে।
আমরা এ এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য বর্তমান জনবান্ধব সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার বলেন, কুবাজপুর- রানীগঞ্জ রাস্তাটি পাঁকাকরণ হবে ২ কিঃ মিটারের উপরে। কাজের মান উন্নয়নে আমরা তদারকি করছি। রাস্তাটি যাহাতে ডাউনে না যায়, সেদিকে আমাদের নজর আছে।
রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানা জানান, রাস্তাটির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
আহমদাবাদ এলাকায় রাস্তাটি পানির স্রোতে ডাউন হয়ে গেছে।
ডাউনে উচ্চতা বাড়াতে আমি ঠিকাদার বেলাল সাহেবের সাথে আলাপ করেছি।