উত্তরের জেলা গাইবান্ধা খাল-বিলে অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা থেকে নারীদের তৈরি পণ্য রফতানি হচ্ছে বিদেশে।
ফুলছড়ি উপজেলার মদনেপাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
বন্যার ভাঙনে শত শত পরিবারের নিঃস্ব গৃহিনী আর স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্রীরা এবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে কচুরিপানার ওপর ভর করে।
শুকনো কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করা সামগ্রী রপ্তানি করা হয়েছে। কচুরীপানাকে অপ্রয়োজনীয়, পচনশীল এবং মশা উৎপাদনের কেন্দ্র বলেই মনে করা হতো।
এখন সেই কচুরিপানা দিয়েই তৈরি হচ্ছে রকমারি পণ্য।
উদ্যাগতাদের উদ্দোগ্যে ফেলনা উদ্ভিদ কচুরিপানাকে অর্থকরী পণ্যে রূপান্তরের মধ্যদিয়ে স্বনির্ভর জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছেন গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়ি উপজেলার নারীরা।
কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করছেন ব্যাগ, বালতি, ফুলের টবসহ নিত্য নতুন সৌখিন পণ্য।
স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় অবসর সময়টা এভাবেই কাটছে শিক্ষার্থীদের।
তবে এসব পণ্যের চাহিদা দেশে কম থাকলেও রফতানি হয় আমেরিকা নেদারল্যান্ডসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে।
ফলে একদিকে যেমন আয়ের উৎস বাড়ছে অন্য দিকে তারা গড়ে উঠছে দক্ষ হয়ে, যা দক্ষ্য জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।