আমাদের থেকে আজ তোমার বিদায়ের দিন। তোমাকে এমনি করে বিদায় দিতে হবে তা আমরা কখনো ভাবিনি। আসলে এটা কোন বিদায় নয়। কিছু দিনের জন্য চোখের আড়াল হওয়া। প্রকৃতপক্ষে বিদায় হচ্ছে “মহান রাব্বুল আ’লামীনের ডাকে সাঁড়া দেওয়া। যে ডাকে সাড়া দিলে কখনো কারো সাথে যোগাযোগ করা যায় না”। ইনশা’আল্লাহ তোমার সাথে সব সময় আমাদের যোগাযোগ ছিলো থাকবে। আমরা তোমাকে বিদায় দিতে চাচ্ছি না, কিন্তু কি করবো নিয়তির সাথে সবাইকে হার মানতে হয়। কেউ চাই না তার মা-বাবা-ভাই-বোন মাতৃভূমি, বন্ধুর ভালোবাসা ত্যাগ করে দেশান্তরে যেতে। যেতে হচ্ছে শুধু তোমার ভবিষ্যৎ জীবনকে আরও সুন্দর মধুময় করার জন্য।
তুমি ছিলে আমাদের “করর্তল আদর্শ যুব সংঘ এর এক প্রাণবন্ত কর্মী। এই যুব সংঘ কারোও বড় ভাইয়ের মত বন্ধু, অনেকেই আমরা ছোট বেলা থেকে একসাথে বড় হয়েছি, যদি কোন ভুলক্রটি হয়ে থাকে চলার পথে, যদি কোনোদিন মনক্ষুন্ন হয় সংগঠনের কর্ম পরিচালনার ক্ষেত্রে, তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবে আমাদেরকে, আমাদের আদর্শ যুব সংঘ কে। দোয়া করি তুমি যেনো তোমার উদ্দেশ্যে কামিয়াবি হও। আরও দোয়া করি যেনো ‘আল্লাহ্’ তোমাকে যেখানে যাচ্ছ সেখানে ধৈর্য্য ধারন করে থাকতে পারো।
বিদায় বড় ব্যথা আর বেদনাদায়ক, তাইতো কবির ভাষায় একটি কথাই বলতে হয় “যেতে নাহি দেবো হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়”। তোমার বিদায়ের প্রাক্বালে “করর্তল ” কল্লগ্রাম আদর্শ যুব সংঘ এর পক্ষ থেকে জানাই একরাশ প্রিতি-শুভেচ্ছা-অভিনন্দনসহ যাত্রা পথে সার্বক্ষনিক আল্লাহ্ তোমার মঙ্গল করবেন এই প্রার্থনা করছি।