প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন যে, ভাষার অধিকার থেকে শুরু করে স্বাধীনতা পর্যন্ত প্রতিটি অর্জনেই বাঙালিকে আন্দোলন ও সংগ্রাম করতে হয়েছে ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
মাথা উঁচু করে চলার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে দেশ। বাঙালি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতেই পাকিস্তানি শাসকরা বিজাতীয় ভাষা চাপিয়ে দিয়ে সংস্কৃতির ওপর আঘাত হেনেছিল।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আজকের ভাষা দিবসে আপনারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে অবদানের জন্য ভাষার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আপনাদের কাছ থেকে আগামী প্রজন্ম শিক্ষা নিতে পারবে।
এটা শুধু আপনাদের সম্মাননা নয়, জাতির জন্য সম্মাননা, দেশের মানুষের জন্য সম্মাননা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি চলছে। যদিও ভ্যাকসিন আসছে, ভ্যাকসিন দিচ্ছি। এ বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে। সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ করছি। অন্তত মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার বিষয়টি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিকের হাতে এই পদক তুলে দেয়া হয়। এ বছর ভাষা আন্দোলনে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন এবং সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা, অর্থনীতি ও সমাজসেবায় একজনকে একুশে পদক দেয়া হয়।
পদক বিজয়ীরা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর কাছ থেকে নিজ নিজ পদক গ্রহণ করেন এবং মরণোত্তর একুশে পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যরা এই পদক গ্রহণ করেন।